শরীর সুস্থ রাখার উপায়গুলো কি - শরীর সুস্থ রাখার ঔষধ
প্রিয় পাঠক, আপনি কি শরীর সুস্থ রাখার উপায়গুলো জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আসুন আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা শরীর সুস্থ রাখার উপায়গুলো এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এই সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
সুস্থতা আল্লাহ সবচেয়ে বড় নেয়ামত। কথায় আছে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। যে ব্যক্তি বিছানায় দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় আছে একমাত্র সেই বুঝবে সুস্থ থাকার মূল্য। শরীর সুস্থ থাকলে মন এমনি এমনিই ভালো থাকে আর মন ভালো থাকলে পৃথিবীর সব কিছুকে অনেক ভালো লাগে। অসুস্থ মানুষ জীবনে বেঁচে থাকার আনন্দ ভালোভাবে উপভোগ করতে পারে না। সুস্থ থাকার উপায় গুলো মেনে চললে শরীর সুস্থ এবং স্বাভাবিকথাকবে।আমরা জীবনে যা কিছুই করি না কেন সুস্থভাবে জীবন যাপনের জন্য করি।
আরো পড়ুনঃ পানি পান করার উপকারিতা ও অপকারিতা
সুস্থ ভাবে বেঁচে না থাকলে জীবনে বেঁচে থাকার কোন মূল্য থাকে না। শরীর সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে আমাদের জীবন ব্যবস্থাকে নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। খাবার ঘুম গোসল ইত্যাদি নিয়ম মেনে করলেই শরীর সুস্থ থাকবে।এছাড়া সুস্থ থাকার যেগুলো উপায় আছে সেই উপায় গুলো অনুসরণ করে আমরা সুন্দর ওসুস্থ জীবন গড়ে তুলতে পারি।
শরীর সুস্থ রাখার উপায়
শরীর জীবনের সফলতা নিয়ে আসে। আপনি জীবনে যাই করেন না কেন সেজন্য আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে। কারণ শরীর ঠিক তো সব ঠিক। শারীরিক অসুস্থতা জীবনে প্রতিটি পদক্ষেপে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সেজন্য জীবনে সফল হওয়ার জন্য সুস্থতা অবশ্যই জরুরী। শরীর সুস্থ রাখার কতগুলো উপায় আছে আসুন আমরা সেগুলো জেনে নেই-- সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা এবং ঘুম থেকে উঠে কমপক্ষে ৪০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা। হাঁটা হচ্ছে সবচাইতে ভালো শারীরিক ব্যায়াম।
- সময় মত খাবার খাওয়া সময়মতো খাবার না খেলে সে খাবার শরীরের জন্য উপকারী না হয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে
- প্রতিদিন খাবারের সবুজ শাক-সবজি এবং ফলমূল খাওয়া। শাক-সবজি এবং ফলমূল শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে।
- যেগুলো খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর যেমন ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার, অ্যালকোহল, চকলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি খাবারগুলো এড়িয়ে চলা।
- মোটা মাংস বা লাল মাংস বেশি পরিমাণে না খাওয়া।
- সারাদিনে কমপক্ষে এক থেকে দুই ঘণ্টা হাঁটা।
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করা।
- রাত ৯ টার মধ্যে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং বেশি রাত জাগা থেকে বিরত থাকুন।
- সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা এবং ঘুম থেকে উঠে কমপক্ষে ৪০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা। হাঁটা হচ্ছে সবচাইতে ভালো শারীরিক ব্যায়াম।
- সময় মত খাবার খাওয়া সময়মতো খাবার না খেলে সে খাবার শরীরের জন্য উপকারী না হয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে
- প্রতিদিন খাবারের সবুজ শাক-সবজি এবং ফলমূল খাওয়া। শাক-সবজি এবং ফলমূল শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে।
- যেগুলো খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর যেমন ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার, অ্যালকোহল, চকলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি খাবারগুলো এড়িয়ে চলা।
- মোটা মাংস বা লাল মাংস বেশি পরিমাণে না খাওয়া।
- সারাদিনে কমপক্ষে এক থেকে দুই ঘণ্টা হাঁটা।
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করা।
- রাত ৯ টার মধ্যে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং বেশি রাত জাগা থেকে বিরত থাকুন।
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
আমরা সবাই জানি শরীর সুস্থ থাকলে শরীরও মন দুটোই ভালো থাকে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য সবার আগে শরীরের সুস্থতা জরুরী। শরীর সুস্থ থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, পরিমাণমত পানি খাওয়া, সময় মত ঘুমানো ইত্যাদি ঠিকঠাক মতো করলেই শরীর সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকবে। শরীর সুস্থ রাখার উপায় শরীর সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকবে।
আমাদের প্রত্যেকেরই শরীরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে হবে এ নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে তাহলে সুন্দর, সুস্থ জীবন পাওয়া সম্ভব। তাই আমরা বলতে পারি শরীর সম্পূর্ণরূপে সুস্থ থাকলে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা ঠিক থাকবে। এছাড়া শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত।
আজীবন সুস্থ থাকার উপায়
সুন্দর ও সুস্থ জীবন আমরা প্রত্যেকেই চাই। যতদিন বেঁচে থাকা যায় সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার সবারই ইচ্ছা। কিন্তু সেটা কয়জন পারে। আমাদের অসুস্থতার মূল কারণ হচ্ছে অনিমিত জীবন যাত্রা ও খাদ্য অভ্যাস। আজীবন সুস্থ থাকতে হলে জীবন যাত্রার মান ও খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। আমরা উপরে শরীর সুস্থ রাখার উপায় নিয়ে জেনেছি। আজীবন সুস্থ থাকারও কিছু উপায় আছে সেগুলো হলো-- প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম
- পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
- অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলা
- তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং ভোরে ঘুম থেকে উঠা
- পরিমাণ মতোমত পানি পান করা
- প্রয়োজন মত বিশ্রাম নেওয়া
- প্রতিদিন শাক সবজি এবং ফলমূল খাওয়া
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
- নিয়মিত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন ইত্যাদি।
- প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম
- পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
- অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলা
- তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং ভোরে ঘুম থেকে উঠা
- পরিমাণ মতোমত পানি পান করা
- প্রয়োজন মত বিশ্রাম নেওয়া
- প্রতিদিন শাক সবজি এবং ফলমূল খাওয়া
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
- নিয়মিত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন ইত্যাদি।
শরীর সুস্থ রাখার খাবার তালিকা
শরীর সুস্থ রাখার খাবারের তালিকায় অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার রাখতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার ছাড়া শরীরে সুস্থতা কখনোই সম্ভব নয়। স্বাস্থ্যকর খাবার মানে জীবন্ত। জীবন্ত খাবার হচ্ছে সেই সকল খাবার যা শরীরকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখে। কেননা শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যে সকল উপাদান প্রয়োজন সে সবগুলো জীবন্ত খাবারের মধ্যে পাওয়া যায়। শরীর সুস্থ রাখার জন্য যে সকল খাবার তালিকাভুক্ত সে খাবারগুলো যেমন-
ফলমূলঃ শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে খাবারের তালিকায় প্রতিদিন ফলমূল রাখতে হবে। ফলমূল শরীরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সরবরাহ করে ফলে শরীর সুস্থ থাকে।
পানিঃ আমরা জানি পানির অপর নাম জীবন। তাহলে বুঝতে পারছেন পানি শরীরের জন্য কতটা উপকারী। পরিমাণ মতো পানি পান করলে শরীর সুস্থ শরীর থাকে।
শাকসবজিঃ নিয়মিত শাকসবজি খেলে শরীর হাতে যে সুস্থ থাকে এবং শরীরের তৈরি হওয়া বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হিসেবে কাজ করে।
দুধ ও ডিমঃ দুধ ও ডিমের সব ধরনের ভিটামিন থাকায় প্রতিদিন দুধ ও ডিম খাওয়া শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। দুধ ও ডিম খাওয়ার উপকারিতা সবচেয়ে বেশি।
আঁশযুক্ত খাবারঃ আজযুগ তো খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই দরকারি সেজন্য চিকিৎসকরা সব সময় খাবারের তালিকায় আশযুক্ত খাবারের কথা বলে থাকেন।
প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন মাছ,মাংস, ডিম, শিম, মসুর ডাল ইত্যাদি খাবারের তালিকায় থাকা প্রয়োজন।
শরীর সুস্থ রাখার ঔষধ
শারীরিক সুস্থতার খাবার খেলেই হবে ঠিক তা নয় খাবারের পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখার জন্য ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন। অনেক সময় খাবার খেলেও শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি থেকে যায় এই ভিটামিন সহ অন্যান্য উপাদানের ঘাটতি পূরণ করার জন্য আমাদের কিছু ওষুধ খেতে হয় যেমন-ভিটামিন -এ, ভিটামিন বি ভিটামিন সি ভিটামিন ডি আয়রন ক্যালসিয়াম ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ ঘুম কম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
শরীর সুস্থ রাখার রুটিন
শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদের প্রতিদিন রুটিন মত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে কেননা স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরকে সুস্থ রাখতে পারে। সুস্থ শরীর নিয়ে আমরা যা জেনেছি সেখানে সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা বলা হয়েছে। আমরা যদি রুটিন মোতাবেক পুষ্টিকর খাবার খায় তাহলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে। এছাড়াও শরীর সুস্থ রাখার উপায় হচ্ছে শারীরিক ব্যায়াম।
দৈনিক রুটিন মোতাবেক আমরা যদি শারীরিক ব্যায়াম ঠিক রাখি তাহলে আমাদের শরীর সচল থাকবে আর শরীর সচল থাকলে আমাদের সবকিছুই ঠিক থাকবে। সুস্থভাবে বাঁচতে কে না চায় সেজন্য আমরা যদি একটু নিয়ম মেনে শরীরের যত্ন নেই তাহলে শরীরের রোগ জীবাণু কাছে ঘেষতে পারবে না এবং শরীরকে দুর্বল করতে পারবে না। সুস্থতা জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সুস্থ না থাকলে জীবন মূল্যহীন হয়ে পড়ে এবং সে জীবনে কোন আনন্দ থাকে না। তাই শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমরা একটি রুটিন তৈরি করি এবং সে রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করি।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদের প্রতিদিন রুটিন মত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে কেননা স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরকে সুস্থ রাখতে পারে। সুস্থ শরীর নিয়ে আমরা যা জেনেছি সেখানে সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা বলা হয়েছে। আমরা যদি রুটিন মোতাবেক পুষ্টিকর খাবার খায় তাহলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে। এছাড়াও শরীর সুস্থ রাখার উপায় হচ্ছে শারীরিক ব্যায়াম।
দৈনিক রুটিন মোতাবেক আমরা যদি শারীরিক ব্যায়াম ঠিক রাখি তাহলে আমাদের শরীর সচল থাকবে আর শরীর সচল থাকলে আমাদের সবকিছুই ঠিক থাকবে। সুস্থভাবে বাঁচতে কে না চায় সেজন্য আমরা যদি একটু নিয়ম মেনে শরীরের যত্ন নেই তাহলে শরীরের রোগ জীবাণু কাছে ঘেষতে পারবে না এবং শরীরকে দুর্বল করতে পারবে না। সুস্থতা জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সুস্থ না থাকলে জীবন মূল্যহীন হয়ে পড়ে এবং সে জীবনে কোন আনন্দ থাকে না। তাই শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমরা একটি রুটিন তৈরি করি এবং সে রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url